“পশ্চিম জয়রামপুর জনসেবা প্রাতিষ্ঠান”, ১৯৫৪ সালে জনসেবার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়েছিল। বিরাট অঞ্চল নিয়ে মাত্র কয়েকটি পরিবারের উপস্থিতিতে তৈরি হয়েছিলো এই প্রতিষ্ঠানটি , তাদের আজ অনেকেই আমাদের মধ্যে নেই, রয়ে গেছে এই প্রতিষ্ঠানটি । না ছিল কোন পাকা রাস্তা,না ছিল বিদ্যুৎ । এমনকি তখনকার সমিতি পরিচালন ব্যাক্তিদের বর্ষাকালে এই অঞ্চলে কারোর মৃত্যু ঘটলে মৃতদেহ কলাগাছের ভেলায় করে বয়ে নিয়ে যেতে হত। কেননা বর্ষাকালে এই অঞ্চলের চারদিক জলমগ্ন থাকতো। কিন্তূ তখনকার প্রজন্ম দমবার পাত্র নন, এই সব অসুবিধাকে দূরে রেখে মানুষের স্বার্থে সকল রকম উন্নতি সাধনে লিপ্ত থাকতেন। বিভিন্ন রাস্তা ঘাট তৈরি করা , এটা ছিল একটা সান্ধ্যকালীন কাজ। কালক্রমে তারা স্থাপন করলেন “পশ্চিম জয়রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়”, যেটা কিনা দাদুর স্কুল নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে ঐ দাদুর নামেই তারা স্থাপন করলেন উচ্যমাধ্যামিক বিদ্যালয় , যার নাম “পর্ণশ্রী সতীপ্রসন্ন বিদ্যাপীঠ” । আর এই সমস্ত সেবামূলক কাজের ধারা বাহিকতা বহন করে চলেছে পরের পর প্রজন্ম । স্থাপিত হল পাঁকা সমিতি গৃহ । জয়রামপুর জলা রোডের পরিবর্তে রাস্তার নাম হল “সত্যজিৎ রায় সরণি” । প্রতি বাড়ির নং পরিবর্তন করা হল সঠিক ঠিকানা খুজে পাবার স্বার্থে । তার সঙ্গে নানাবিধ খেলাধুলা , সামাজিক ক্রিয়াকর্ম । তৈরি হল শিশু কিশোরদের একটি শাখা , নাম “সোনালী মণিমেলা” । যার নাম পশ্চিম বঙ্গবাসীর মুখে মুখে আজও শোনা যায় । কিন্তূ বর্তমানের পঠন পাঠন ও সামাজিক চাহিদার পরিবর্তনে আজ আর মণিমেলা চালানো সম্ভব হয়না । কিন্তূ আমাদের জনসেবা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ আজও সোনালী মণিমেলার মাঠ নামে পরিচিতি পেয়ে থাকে । আর এই দুই সংগঠনের যুক্ত প্রয়াসেই আমাদের নিজস্ব মাঠের সৃষ্টি । আর আজ সেখানেই এই অঞ্চলের মানুষের অর্থ সাহায্যের বিনিময়ে সকলের প্রয়োজন মেটানোর জন্য স্থাপিত হয়েছে কমুউনিটি হল , শুধু এই অঞ্চলের কেন , এর সুবিধা পার্শ্ববর্ তী রাজ্য , এমনকি আসামের বাসিন্দারাও উপভোগ করেছেন । সামান্য অনুদানের মাধ্যামে , যেটা কিনা এই সম্পতির উন্নয়ন এবং মেরামতির কাজে লাগান হয় । এই প্রতিষ্ঠান সরকারী সাহায্যের মাধ্যামে একটি শরীর চর্চার বিভাগও চালু করেছে , যার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় বিধায়ক ডঃ পার্থ চাটাজ্জী মহাশয় এবং স্থানীয় পৌরপিতা শ্রী অঞ্জন দাস মহাশয় । কাজেই এই সংগঠনটিকে আরও মজবুত ও শক্তিশালী করতে আপনার উপস্থিতি এবং সহযোগিতা একান্তভাবে প্রয়োজন ।